তরুণীর নাম অ্যান্ড্রিয়া ইভানোভা। তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঠোঁটের মালিক। আপনি ঠাট্টা করে বলতে পারেন, হাঁসের মতো ঠোঁট! তিনি কিন্তু শখে একাজ করেছেন। খরচ করেছেন মোটা টাকা। একাধিক অস্ত্রোপচারের ধাক্কা সামলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঠোঁটের মালিকানা পেয়েছেন।
এই তরুণীর বাড়ি বুলগেরিয়া। এবার তিনি শুরু করেছেন অব্য মিশন। গালের হাড় বড় করতে চান। অদ্ভূত দর্শন হয়েই দুনিয়াখ্যাত হয়েছিলেন অ্যান্ড্রিয়া। সেই লোভেই নতুন সিদ্ধান্ত? উল্লেখ্য, নিজেকে ‘বার্বি’ পুতুলের মতো সাজানোর তাগিদে বড় ঠোঁট বানাতে ২০ বার অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে অ্যান্ড্রিয়াকে। তার জন্য খরচ করেছেন ৮ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৩ লাখের সমান।
সেই সময় ইভানোভা বলেছিলেন, ‘তার ঠোঁটে ১৭ বার হায়লুরোনিক অ্যাসিড প্রয়োগ করা হয়েছিল। যার ফলে ঠোঁট স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় চার গুণ বড় হয়েছে।’ তখনই জানিয়েছল এতেও খুশ নন তিনি। আরও বড় ঠোঁট চাই।
অ্যান্ড্রিয়া এবার জানালেন, নিজেকে ‘বার্বি’ পুতুলের মতো সাজাতে গালের একাধিক হাড়ের অস্ত্রোপচার করাবেন। বিশেষত চোয়াল এবং চিবুকের হাড়ে অস্ত্রোপচার করাবেন তিনি। এই বিষয়েও বিশ্ব রেকর্ড করতে চান। অ্যান্ড্রিয়া বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঠোঁটের পাশাপাশি আমি বিশ্বের সবচেয়ে বড় গালের হাড়ের মালিক হতে চাই।’ তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে চারবার হায়লুরোনিক অ্যাসিডের ইঞ্জেকশান নিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে আরো দুইবার ইঞ্জেকশান নেবেন।
২৫ বছরের অ্যান্ড্রিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঠোঁটের মালিক হয়েও সন্তষ্ট নন। তিনি আরো বড় ঠোঁট চান। এর জন্য ভবিষ্যতে আরো কয়েকটি ইঞ্জেকশন নেবেন। উল্লেখ্য, গালের হাড় বড় করতে ইতিমধ্যে এক লাখ ৫৮ হাজার টাকা খরচ করেছেন তরুণী। অনেকেই যে তার অদ্ভূত চেহারা নিয়ে কটাক্ষ করেন, তাও জানেন অ্যান্ড্রিয়া। যদিও এতে তার কিছু আসে যায় না।
তিনি বলেন, ‘লোকের মন্তব্য নিয়ে চিন্তা করি না, কারণ সৌন্দর্য সম্পর্কে আমার নিজেস্ব রুচি ও দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, আমি যা কঠোরভাবে অনুসরণ করি।’